শ্রীমদ্ ভাগবত মহাপুরাণ - পরিচিতি - Srimad Bhagavatam - Introduction - The Srimad Bhagavatam

পড়ুন


The Srimad Bhagavatam

Sunday, 27 October 2019

শ্রীমদ্ ভাগবত মহাপুরাণ - পরিচিতি - Srimad Bhagavatam - Introduction

Bhagavatam, Srimad Bhagavatam, Bhagavata Purana, Srimad Bhagavatam in Bengali, Bhagavata Purana in Bengali, Bhagavata Mahapurana, Sanatana Dharma, Bhagavata Mahapurana, Srimad Bhagavatam Bangla, Gita, শ্রীমদ্ ভাগবতম, শ্রীমদ্ ভাগবত মহাপুরান, শ্রীমদ্ ভাগবত পুরান, Srimad Bhagavatam online
 
                                                                                                  পরবর্তী লেখনী-->


Srimad Bhagavatam - Introduction
শ্রীমদ্ ভাগবত মহাপুরাণ

|| ওম নমঃ ভগবতে বাসুদেবায় || 

শ্রীমদ্ ভাগবত মহাপুরাণ - পরিচিতি

প্রিয় ভক্তবৃন্দ এবং সুধীগণ,  

আপনাদের সকলের আশীর্বাদ মাথায় নিয়ে শুরু করলাম প্রথম লেখা |
মূল বিষয়ে যাওয়ার আগে, আমরা সংক্ষেপে জেনে নেব শ্রীমদ্ ভাগবত মহাপুরাণের বিষয়ে কিছু অত্যাবশ্যক তথ্য |

শ্রীমদ্ ভাগবত মহাপুরাণ হল সনাতন বৈদিক ধর্মে ১৮ টি মহা
পুরাণের মধ্যে একটি | ১৮ টি মহাপুরাণের মধ্যে এটি সবথেকে শেষে লেখা হয়েছিল | বাকি ১৭ টি মহাপুরাণের মতো এটিও মহর্ষি কৃষ্ণদ্বৈপায়ণ বেদব্যাস দ্বারা রচিত | মহর্ষি বেদব্যাস যখন ১৭ টি পুরান এবং মহাভারত লেখা সমাপ্ত করে ফেলেছেন, কিন্তু তখনও মনের মধ্যে শান্তি পাননি, শান্তির জন্য ব্যাকুল হয়ে রয়েছেন, তখন গুরুদেব দেবর্ষি নারদ এর পরামর্শে মহর্ষি বেদব্যাস এই পবিত্র ভাগবত শাস্ত্রটি রচনা করেন এবং আপন পুত্র মহর্ষি শুকদেবকে এই গ্রন্থের অধ্যয়ন করান |

পরে মহর্ষি শুকদেব, এই অমৃতরূপী শ্রীমদ্ ভাগবত মহা
পুরাণ, ভারতবংশীয় রাজা মহারাজ পরিক্ষিতকে শোনান | যার অমোঘ প্রভাবে মহারাজ পরিক্ষিত মুক্তিলাভ করেছিলেন | এটি ভাগবত পুরাণ, ভাগবত মহাপুরাণ, শ্রীমদ্ ভাগবতম,  শ্রীমদ্ভাগবতম, শুকশাস্ত্র বা শুধুমাত্র ভাগবত নামেও পরিচিত | এটি ভগবান বিষ্ণু এর বিভিন্ন অবতার ( প্রধানত: ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ) ও তাঁর বিভিন্ন ভক্তচরিত্র বিস্তারপূর্বক বর্ণনা করে এবং এটি বৈষ্ণবশাস্ত্র গুলির মধ্যে সর্বোত্তম বলে পরিগণিত হয় |

শ্রীমদ্ ভাগবত মহা
পুরাণ সাত্ত্বিক শ্রেণীর মহাপুরাণ | পদ্মপুরাণ অনুসারে আমাদের ১৮ টি মহাপুরাণ ৩ টি শ্রেণীতে বিভক্ত নিজ নিজ গুন অনুসারে | যথা ১)সাত্ত্বিক ২)রাজসিক ৩)তামসিক | 
নিচে ৩ প্রকার পুরাণের নাম এবং কোন কোন পুরাণ কোন কোন শ্রেণীতে পড়ে তার উল্লেখ করা হল |

১) সাত্ত্বিক
পুরাণ:- বিষ্ণু পুরাণ, ভাগবত পুরাণ, নারদেয় পুরাণ, গরুড় পুরাণ, পদ্ম পুরাণ, বরাহ পুরাণ
২) রাজসিক
পুরাণ:- ব্রহ্মান্ড পুরাণ, ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ, মার্কন্ডেয় পুরাণ, ভবিষ্য পুরাণ, বামন পুরাণ, ব্রহ্ম পুরাণ
৩) তামসিক
পুরাণ:- মৎস্য পুরাণ, কুর্ম পুরাণ, স্কন্দ পুরাণ, অগ্নি পুরাণ, শিব পুরাণ, লিঙ্গ পুরাণ

শ্রীমদ্ ভাগবত মহা
পুরাণ ১২ টি স্কন্ধে বিভক্ত এবং ১৮০০০ শ্লোক নিয়ে রচিত (যদিও শ্লোকসংখ্যা নিয়ে সামান্য মতভেদ রয়েছে) | নিচের তালিকাতে আমরা প্রতি স্কন্ধে কয়টি অধ্যায় আর কয়টি শ্লোক আছে দেখে নেব |




শ্রীমদ্ ভাগবত মহাপুরাণের ছাপ বৌদ্ধ,জৈন ইত্যাদি সম্প্রদায় এর মধ্যে সুস্পষ্ট ভাবে পরিলক্ষিত হয় | ভারতবর্ষে ভক্তি আন্দোলনে শ্রীমদ্ ভাগবত মহাপুরাণের ভূমিকা অপরিসীম | এটি ভক্তি, সাংখ্য, যোগ, অদ্বৈতবাদ , ধৰ্ম ইত্যাদি সম্পর্কে আমাদের শিক্ষা প্রদান করে |

শ্রীমদ্ ভাগবত মহাপুরাণ থেকে অনেক নৃত্যকলার উদ্ভব হয়েছে, যেমন কথকলি , কুচিপুডি, ওড়িশি ইত্যাদি | শ্রীমদ্ ভাগবত মহাপুরা
ণের দশম স্কন্ধ কথকলি,কুচিপুডি,ওড়িশি,মণিপুরী নৃত্যের বিষয়বস্তু হিসেবে বিবেচিত হয়, বিশেষ করে রাসলীলা |

 
শ্রীমদ্ ভাগবত মহাপুরাণ বাংলা পাণ্ডুলিপি


ভাষ্যকার : অনেক প্রমুখ এবং নামী মনীষীগণ শ্রীমদ্ ভাগবত মহাপুরাণের উপর টিকা বা ভাষ্য দিয়েছেন | শুধুমাত্র মধ্যযুগেই আশির (৮০) উপর মনীষী ভাগবতের উপর ভাষ্য রচনা করেছেন , তাও শুধুমাত্র সংস্কৃতেই ! তাই সবার নাম উল্লেখ করা সম্ভব নয়, তবুও কিছু নাম উল্লেখ করার চেষ্টা করলাম | উল্লেখযোগ্য মনীষীগণ হলেন মাধবাচার্য (ভাগবত তাৎপর্য নির্ণয়), শ্রীধর স্বামী (শ্রীধরিয়াম) , ভোপাদোভ , বিজয়ধ্বজ, জীব গোস্বামী , বিশ্বনাথ চক্রবর্তী ঠাকুর , রাধারমণ, রাধাবিনোদ গোস্বামী , ভক্তিসিদ্ধান্ত সরস্বতী, অভয়চরণ দে ইত্যাদি |

এটিই প্রথম পুরান যেটি সর্বপ্রথম কোনো ইউরোপিয়ান ভাষায় ( ফ্রেঞ্চ ) অনুবাদ করা হয়েছিল |

বর্তমান সমাজে সনাতনীদের অবক্ষয়, যুবসমাজের অদূরদর্শিতা, ধার্মিক আচার হ্রাস, বিধর্মী যবন ম্লেচ্ছদের অত্যাচার ভীষণ রূপে প্রকট | এই নিদারুন সময় আমাদের সর্বতোভাবে ধৰ্মকে রক্ষা করা উচিত | আর তার জন্য সর্বাগ্রে দরকার ধৰ্ম পরিচয় | কারণ ধৰ্ম ভগবান কর্তৃক সৃষ্ট এবং ধৰ্ম কেবল একটিই , আর সেটি হল সনাতন বৈদিক ধৰ্ম , ইহা ভিন্ন আজকাল ধর্মের নামে যা যা প্রচলিত, সেগুলো সবই অধর্ম আর পাখন্ড | এই ঘোর কলিযুগে মানব সমাজ উদ্ধারের সর্বোত্তম উপায় হল শ্রীমদ্ ভাগবতম / শ্রীমদ্ ভাগবত মহাপপুরাণের স্বাধ্যায় এবং ভগবানের নাম কীর্তন করা |

তাহলে আসুন আমরা সবাই একসাথে শ্রীমদ্ ভাগবতম / শ্রীমদ্ ভাগবত মহাপপুরাণের স্বাধ্যায় করে আমাদের জীবন পুন্য করি | আজকের মতো এইটুকুই,আমরা শেষ করবো মহামন্ত্র দিয়ে |

হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে  |

হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে  ||


যদি আপনার এই পোস্টটি পছন্দ হয়ে থাকে / ভালো লেগে থাকে নতুবা এখান থেকে কিছু নুতন জানতে পারেন তাহলে আমাদের সাবস্ক্রাইব অবশ্যই করবেন এবং আপন আত্মীয়পরিজন, বন্ধু-বান্ধবদের  সাথে শেয়ার করবেন | আমার লেখা কেমন লাগলো তা অবশ্যই নিচে কমেন্ট বক্স এর মাধ্যমে কমেন্ট করে জানাবেন |

শ্রীমদ্ ভগবত গীতার উপর আমাদের টিউটোরিয়াল / শিক্ষামূলক সিরিজ পাড়ার জন্য এই লিংকটি ক্লিক করে শ্রীমদ ভগবত গীতার অমৃতজ্ঞান পান করে জীবন পবিত্র ও পুন্য করুন | 

শ্রীমদ্ গবত গীতা : https://bhagavadgitatutorial.blogspot.com/2019/10/shrimad-bhagavad-gita-tutorial-series.html

আপনারা আমার প্রণাম নেবেন |  


ইতি
দীন ভক্ত দাসানুদাস

                                                                                                  পরবর্তী লেখনী-->


4 comments:

  1. বাংলাদেশ এই গ্রন্থটির দাম কত?

    ReplyDelete
  2. Hare Krishna.
    Eguli sokoler sathe share korte thakun.

    ReplyDelete
  3. এই বইয়ের বাংলাদেশীয় মুদ্রায় কত টাকা

    ReplyDelete